মাহে রমজানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত !
*** এ মাসটির আরেকটি নাম হলো কুরআনের মাস । যেহেতু এ মাসেই পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয় ।
*** আল্লাহপাক বলেন “ আমি এ কুরআন অবতীর্ণ করেছি একটি মোবারক রাত্রীতে ।”
সূরা দোখান ৩
মোবারক রাতটি ছিলো মাহে রমজানে । আল্লাহপাক বলেন “ মাহে রমজানে এ কুরআন নাজিল করা হয়েছে ।”
সূরা আল বাক্বারা ১৮৫
আল্লাহপাক আরো সুনির্দিষ্ট করে বলেন “ লাইলাতুল ক্বদরে ( শবে ক্বদর ) এ পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ করেছি ।”
সূরা আল ক্বদর ১
*** মহানবী সাঃ বলেন “ মাহে রমজানের ২৪তম দিবাগত রাত্রে এ কুরআন নাজিল হয় ।”
ছহীহুল জামে
সিলসিলাহ ছহীহা
এ হাদিসটিকে শায়খ আলবানী রহঃ হাসান স্তরের বলেছেন ।
এ হাদিসে কুরআন নাজিল হওয়াটা মাহে রমজানের ২৭তম রাতে ছিলোনা । সুতরাং কওমী/ বেরেলভীদের মতো ২৭ তারিখ শবে ক্বদর সুনির্দিষ্ট করে ফেলবেন না । যেহেতু এ ধরণের ধারণা একান্তই তাঁদের মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয় ।
*** মহানবী সাঃ বলেছেন “ তোমরা তিন দিনের কম সময়ে কুরআন খতম করবেনা ।”
সুনানে তিরমিযি ২৯৪৯
সুনানে আবু দাউদ ১৩৯০
সুনানে ইব্নে মাজাহ ১৩৪৭
শায়খ আলাবানী রহঃ হাদিসটিকে ছহীহ বলেছেন ।
*** মহানবী সাঃ বলেছেন “ তোমরা ৭ দিনে কুরআন খতম করো । এরচে’ অধিক সময় নিয়োনা ।”
ছহীহুল বোখারি ৪৭৬৭
ছহীহ মুসলিম ১১৫৯
*** এ হাদিসগুলোর আমল মাহে রমজান ছাড়া অন্যান্য মাসগুলোর জন্য । যেহেতু মাহে রমজানে অধিক হারে কুরআন খতম করার প্রমাণ পাওয়া যায় সাহাবীগণ রাঃ ও ইমামদের রহঃ আমল থেকে ।
ইমাম আহমদ রহঃ, ইসহাক রহঃ সহ অনেকে বলেছেন “ মাহে রমজানে অধিক কুরআন তেলাওয়াত করা মোস্তাহাব ।”
لطائف المعارف ص ١٧١
*** তিন দিনের কম সময়ে কুরআন খতম করার নিষেধাজ্ঞাটি মাকরুহ পর্যায়ের । হারাম নয় । নিষেধ করার কারণ হলো যে, খুব কম সময়ে খতম দেয়া হলে কুরআন পড়ুয়া কুরআনের কিছুই বুঝতে সক্ষম হয়না ।”
আল জামেউস সগীর
শরহে ইব্নে মাজাহ
*** হযরত জিব্রাইল আঃ মাহে রমজানের প্রতি রাতেই আসতেন এবং মহানবী সাঃ উভয়ে একে অপরকে কুরআন শোনাতেন । মহানবী সাঃ’র মৃত্যেুর বছরে ২ বার আসেন হযরত জিব্রাইল আঃ ।
ছহীহুল বোখারি ৩২২০. ৪৯৯৮
ছহীহ মুসলিম ২৩০৮. ২৪৫০
সুনানে নাসাঈ ২০৯৪
এ হাদিস দ্বারা মাহে রমজানে অধিক হারে কুরআন তেলাওয়াত করার স্পস্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায় ।
*** আসুন আমরা কাজ - কর্ম হ্রাস করতঃ বেশী বেশী করে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করি এই মাহে রমজানে । আল্লাহপাক আমাদেরকে কবুল করুক । আমিন ।


0 মন্তব্যসমূহ