ইফতার সংশ্লিষ্ট বিবরণ ।




 ইফতার হোক বা না হোক , যে কোন খাবার/ পানীয় খাওয়া শুরু করতে হবে আল্লাহর নামে । এটা মহানবী সাঃ’র নির্দেশ । 

ছহীহুল বোখারি ৫৩৭৬

ছহীহ মুসলিম ২০২২

ছহীহুল জামে ২৫১

সুনানে আবু দাউদ ৩৭৭৭

সুনানে তিরমিযি ১৮৫৭

মুসনাদে আহমদ ১৬৩৮৩

الشمائل المحمدية ١٩١

 ইফতারির জন্যেও আলাদা কোন দোয়া নেই । সুতরাং ইফতারি খাওয়ার সময়ে বলবেন “ বিসমিল্লাহ অথবা বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ।” 

পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক বলেছেন ….

و انه من سليمان و انه بسم الله الرحمن الرحيم.

সূরা আন নামাল ৩০

ইফতার শেষ করার পর মহানবী সাঃ এই দোয়া পড়েন …..

“ যাহাবাজ যামাউ ওয়াব তাল্লাতিল উরুক্বু ওয়া সাবাতাল আজরু ইন্শাআললাহ ।”

সুনানে আবু দাউদ ২৩৫৭. ১১

ইব্নে খোজাইমাহ ৬০

الدار قطني ١/٥٨

مجموع فتاوى ابن عثيمين  ٢٦١/٢٠

সুনানে নাসাঈ

হাদিসের মানঃ হাসান । 

বাংলাদেশে প্রচলিত ইফতারির দোয়া “ আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু… “ এ হাদিসটি সুনানে আবু দাউদের ( নাম্বার ২৩৫৮ ) অত্যন্ত দূর্বল ও অগ্রহণযোগ্য । 

ইফতারের পূর্ব মূহুর্তে দোয়া করা মোস্তাহাব । মহানবী সাঃ বলেছেন “ তিন শ্রেণীর লোকদের দোয়া ফেরত দেয়া হয়না । তাঁরা হলেন “ ন্যায়পরায়ণ শাসক , মাজলুম এবং রোজাদারের দোয়া ইফতার করার আগ পর্যন্ত ।”

মুসনাদে আহমদ ৮০৩০

সুনানে তিরমিযি ২৫২৫

আত তারগীব ওয়াত তারহীব ২/১২১

সুনানে তিরমিযি ৩৫৯৮

সুনানে ইব্নে মাজাহ ১৪৩২

শায়খ আলবানী রহঃ হাদিসটিকে ছহীহ বলেছেন । 

পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইফতার করবেন এবং দোয়া করবেন । 

 ইফতারির সময় মাগরিবের আযানের সাথে সম্পৃক্ত নয় । বরং সূর্য অস্ত যাওয়ার সংগেই সম্পৃক্ত ।

ছহীহুল বোখারি ১৯৫৪

ছহীহ মুসলিম । 

মাগরিবের আযান হয়ে থাকে সূর্য অস্ত যাওয়ার ৫/৭ মিনিট পর । 

 সময় হয়ে যাওয়ার সংগে সংগেই ইফতার করা বাণ্চণীয় এবং এটাই মোস্তাহাব । 

ফাতহুল বারী ১৯৭/৪

  গ্রাউন্ড ফ্লোরে/ মাটিতে / নীচু স্থানে ইফতার করার সময়টি থেকে কয়েক মিনিট দেরী করেই ইফতার করবে যাঁরা উঁচু বিল্ডিংএ বসবাস করে থাকেন । এটা বিশুদ্ধ আলেম সমাজের ফতওয়া । 

روضة الصائم ٣١

বিমানে ইফতার করার সময়টি বিমান ক্রু থেকে জেনে নেবেন । যে দেশের উপর দিয়ে যাবে, সে দেশের স্থানীয় সময় অনুসারে ইফতার করতে হবে এবং দেরী করে ইফতার করা বাণ্চণীয় । যেহেতু অনেক উপরে ।

 ইফতারির ক্ষেত্রে দ্রুততা অবলম্বনকারী ব্যক্তি কল্যাণ থেকে কখনো বন্চিত হবেনা । বলেছেন মহানবী সাঃ ।

ছহীহুল বোখারি ১৯৫৭

ছহীহুত তারগীব ১০৭৫

ছহীহ মুসলিম 

অর্থাৎ সূর্য ডুবে যাওয়ার সংগে সংগেই ইফতার করা এবং দেরী না করা । 

 মহানবী সাঃ বলেছেন “ ইহুদী ও খ্রীষ্টান জাতি দেরীতে ইফতার করে থাকে ।”

সুনানে আবু দাউদ ২৩৫৩

ছহীহ ইব্নে খোজাইমাহ ২০৬০

সুনানে নাসাঈ ৩৩১৩

সুনানে ইব্নে মাজাহ ১৬৯৮

মুসনাদে আহমদ ৯৮১০

শায়খ আলবানী রহঃ হাদিসটিকে হাসান বলেছেন । 

অর্থাৎ দেরীতে ইফতার করা মানে ভিন্ন জাতির অনুসরণ করা । 

মহানবী সাঃ বলেছেন “ আমরা সকল নবীগণ আঃ তাড়াতাড়ি ইফতার করতাম এবং দেরীতে সূহুর করতাম ।”

ছহীহুল জামে ২২৮৬

ইব্নে হিব্বান ১৭৭০

তাবরানী ১০৮৫১

تخريج العواصم و القواصم  ١١/٣

الطيالسي ٢٧٧٦

 সাহাবীগণ রাঃ তাড়াতাড়ি ইফতার করতেন এবং দেরীতে সূহুর করতেন ।”

مصنف عبر الرزاق ٤/٢٢٦

فتح الباري  ٤/١٩٩

 ভেজা খেজুর দ্বারা ইফতার শুরু করা সুন্নত । সেটা পাওয়া না গেলে শুষ্ক খেজুর দ্বারা করতে হবে । কিছুই পাওয়া না গেলে পানি দ্বারা ইফতার করা । এভাবেই ইফতার করতেন মহানবী সাঃ । 

সুনানে আবু দাউদ ২৩৫৬

সুনামের তিরমিযি ৬৯৬

মুসনাদে আহমদ ১২৬৭৬

نيل الاوطار  ٤/٣٠٠

رواه عبد بن حميد 

শায়খ আলবানী রহঃ হাদিসটিকে হাসান বলেছেন । 

লবন দ্বারা ইফতার শুরু করবেন না । এটা সুন্নত বিরোধী এবং ভিন্ন জাতির কুসংস্কার ! 

 মহানবী সাঃ বলেছেন “ যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করাবে, তাকে সমপরিমাণ ছওয়াব দেয়া হবে । রোজাদারের ছওয়াব থেকে কর্তন করা হবেনা ।”

সুনানে তিরমিযি ৮০৭

সুনানে ইব্নে মাজাহ ১৭৪৬

ইব্নে হিব্বান ২১৬/৮

ছহীহুল জামে ৬৪১৫

কমপক্ষে এক গ্লাস পানি দ্বারা হলেও রোজাদারের হাতে তুলে দেবেন । পেট ভরে খাইয়ে দেয়া অধিক উত্তম । 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ