মহানবী সাঃ বলেছেন “ পিরিয়ড কিংবা সন্তান প্রসব রক্তক্ষরণের সময়ে রোজা/ নামাজ কিছুই নেই ।
ছহীহুল বোখারি ১৯৫১
ছহীহ মুসলিম ৭৯
মা আয়েশা রাঃ বলেন “ পিরিয়ডের সময়ে আমরা নামাজ / রোজা কিছুই করতামনা । রোজার কাজা দিতাম । নামাজের কাজা দিতামনা ।”
ছহীহ মুসলিম ৩৩৫
ছহীহুল বোখারি ৩২১
কাজা রোজা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা Continue করা জায়েজ কিনা ?
সৌদিয়ার সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ اللجنة الدائمة এবং শায়খ বিন বায রহঃ, শায়খ সালেহ উসাইমিন রহঃ সহ প্রায় সকলেই ঐক্যমত্য পোষণ করে বলেছেন “ পিরিয়ড বন্ধ রাখা না রাখা নিয়ে হাদিসে কিছুই বলা হয়নি । সুতরাং বিষয়টি ব্যাপক । অর্থাৎ একজন সমঝদার, বিশ্বস্ত ও পরহেজগার ডাক্তারের অনুমতি সাপেক্ষে ঔষধ সেবন করতঃ পিরিয়ড বন্ধ রেখে পুরো মাহে রমজান রোজা রাখা বৈধ ।
এ ফতওয়া ও বৈধতা নির্ভর করছে একজন মহিলার শারীরিক সুস্থতা ও সক্ষমতার উপর । ঋতুস্রাব নিয়মিত না হলে তা’ একজন মহিলার সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা তৈরী করতে পারে । তিনি যে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারেন । যে কোন ধরণের রোগ সৃষ্টি হতে পারে । এমনকি ঔষধের প্রভাবে পরবর্তী সময়ে যদি পিরিয়ড আর না হয় বা অনেক বিলম্বে পড়ে যায় বা ডাক্তার/ হাসপাতালের শরণাপন্ন হতে হয়, এমতাবস্হায় জায়েজ কাজ করতে গিয়ে হারামে পরিণত হতে পারে ! হিতে বিপরীত দেখা দিতে পারে !
বরং পিরিয়ড নিয়মিত রাখাটাই অধিক নিরাপদ । পরবর্তী সময়ে কাজা দেয়াটাই উচিত । সুতরাং ভেবে- চিন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ ।
শায়খ সালেহ উসাইমিন রহঃ বলেন “ দিনের যে কোন সময়ে পিরিয়ড থেকে পবিত্র হয়ে গেলে তিনি খাওয়া - দাওয়া করতে পারবেন ।
মহানবী সাঃ বলেছেন “ দিনের শুরু থেকে রোজা না রাখা ব্যক্তি দিনের শেষেও খেতে পারবে ।”
مصنف ابي شيبة ٩٠٤٤
الشرح الممتع ٣٣٥-٣٣٦/٦
এ হাদিস দ্বারা মোসাফির, অসুস্থ ও পিরিয়ড মহিলার জন্য খাওয়া - দাওয়া করার অনুমতি পাওয়া যায় । এটাই শাফেয়ী , মালেকী ও হাম্বলী মাযহাবের অভিমত ।
মাহে রমজানে দিনের বেলায় কোন নাবালেগ বালেগে উত্তীর্ণ হলে কিংবা কোন অমুসলিম ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করলে অথবা কোন পাগল ব্যক্তি সুস্থতা লাভ করলে তাঁদের কারো জন্য ইফতারের পূর্ব পর্যন্ত খাওয়া - দাওয়া করা জায়েজ নয় এবং সে দিনের রোজার কাজাও দিতে হবেনা । এটাই বিশুদ্ধ আলেম সমাজের ফতওয়া ।


0 মন্তব্যসমূহ