দেশ/ বিদেশে সফরের কারণে রোজা নিয়ে সমস্যার সমাধান
এ কথা দিবালোকের ন্যায় স্পস্ট যে, রোজা পালনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আরব দেশ সমূহে ১ দিনের ব্যবধান অবশ্যই রয়েছে । কোন ভাই যদি মাহে রমজানে দুবাই থেকে বাংলাদেশে যায় এবং সেখানে গিয়ে ঈদ করে, এমতাবস্হায় তাঁর জন্য একটি রোজা অতিরিক্ত রাখা লাগে । পক্ষান্তরে কোন ভাই যদি মাহে রমজানে দেশ থেকে দুবাই আসেন এবং সেখানেই ঈদ করেন, তাঁর একটি রোজা কম হয়ে যায় ! এ মাসআলার সমাধান কি ?
শায়খ বিন বায রহঃ বলেন ….
“ রোজাদার যে দেশেই থাকবে, সে দেশের নিয়ম তাকে পালন করতে হবে । অর্থাৎ দুবাই থেকে দেশে ফেরা ব্যক্তিকে একটি রোজা অতিরিক্ত রাখতে হবে এবং বাংলাদেশের সংগে ঈদ পালন করতে হবে । At the same time দেশ থেকে দুবাই এসে থাকলে একটি রোজা কম হবে এবং দুবাই’র সাথে ঈদ পালন করতে হবে ।
যে রোজাটি হিসাবে কম পড়ে গেলো, সেটা তিনি ঈদের পর রেখে দেবেন ।
আলেমদের ফতওয়া হলো যে, দেশ পরিবর্তনের কারণে যদি একটি রোজা কম পড়ে যায়, তা’ কাজা দেয়া ফরজ । মহানবী সাঃ বলেছেন “ মাহে রমজান ২৯ ‘র কম হয়না ।”
আপনি যদি রোজা রাখা অবস্থায় বিমানে থাকেন , ইফতারির সময়ে বিমানটি যে দেশের উপর দিয়ে যাবে, ঐ সময়েই ইফতার করতে হবে । যেমন আপনি দুবাই থেকে দেশে যাওয়ার জন্য বিমানে বসে আছেন , বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করলো স্থানীয় সময় ৭ টায় এবং UAE সময় বিকেল ৫ টায় ! ঢাকায় যদি ৭ টায় ইফতারির সময় হয়ে থাকে , ঐ সময়েই ইফতার করে নিতে হবে । দুবাই’র সময় অনুযায়ী ৭ টায় করতে গেলে বাংলাদেশের রাত ৯ টায় ইফতার করতে হবে !!! যা’ সম্পূর্ণ অবান্তর ! আর এ কারণেই বাস্তবতাকে ফলো করতে হবে ।
অনুরুপভাবে কোন ভাই যদি দেশ থেকে রোজা রাখা অবস্থায় দুবাই এসে পৌঁছে, বাংলাদেশের সন্ধ্যা ৭ টা ( UAE বিকেল ৫ টায় ) অনুসরণ করতঃ ইফতার করতে পারবেনা । বরং তাকে দুবাই’র সময় অনুযায়ী ইফতার করতে হবে ।
মোদ্দাকথা হলো যে, যে দেশে অবস্থান করবে, সে দেশের চাঁদের তারিখ অনুসরণ করবে এবং হিসাবে রোজা কম হয়ে গেলে কাজা দিতে হবে । বাকি


0 মন্তব্যসমূহ